মোঃ নিজাম উদ্দিন, চকরিয়া:
দেশের সর্বনিম্ন দামে ঔষধ পাওয়া যাচ্ছে চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা বাজারে। শীর্ষ স্থানীয় কোম্পানির ঔষধগুলো পর্যন্ত এখানে ১২ থেকে ১৫ শতাংশ কম দামে পাওয়া যাচ্ছে। অথচ ওই ঔষধ সমূহ কিনা পড়ে সর্বোচ্চ বিক্রয় মূল্যের ১১-১২ শতাংশ কম দামে। এতে ক্রেতা সাধারণ আর্থিক লাভবান হলেও ঔষধের গুনগত মান নিয়ে সন্দেহের প্রকাশ করেন অনেকে। বিগত সময়ে টপ ঔষুধ কোম্পানি গুলোর মোড়ক ও লেভেল হুবহু নকল করে ঔষুধ বাজারজাত করার ইতিহাস রয়েছে। ওসব অসাধুরা ঔষধের ষ্ট্রিপের ভেতরে নিম্নমানের টেবলেট ঢুকিয়ে দেশের নামিধামী কোম্পানীর নকল লেভেল ও মোড়ক লাগিয়ে দিয়ে পাইকারী বাজারে পাচার করছে। নকল ঔষুধগুলো খুচরা বিক্রেতারা পঞ্চাশ শতাংশ কম দামে বিক্রি করলেও অনেক অংশ লাভবানে থাকবে বলে জানা গেছে। আর এসব ভেজাল ও নিম্নমানের ঔষধ ব্যবহারে রোগী সুস্থ হবে দুরের কথা উল্টো মারাত্বক ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ ঔষধ সেবনে সময়িক রোগ ভাল হলেও পরবর্তিতে ঔষুধ বন্ধ করলে রোগের অবস্থা আরো কঠিন আকার ধারন করতে পারে বলে জানায় বিশেষজ্ঞ।
এদিকে কয়েকজন শীর্ষ মানের ঔষুধ কোম্পানির প্রতিনিধির সাথে কথা বলে জানাযায় তাদের ঔষুধের বিক্রেতার লাভের অংশ সর্বোচ্চ দশ শতাংশ। একই ঔষধ ডুলাহাজারা বাজারে কতিপয় ব্যবসায়ীরা কেনা দামের কম দামে কি ভাবে বিক্রি করছে তাদের বোধগম্য নয়। অথচ এই কেনা দামে ঔষুধ বিক্রি করে ডুলাহাজারা বাজারে অনেক ব্যবসায়ী অল্প সময়ে বাড়ি-গাড়ি গঠন করে কোটি টাকার মালিক বুনে গেছে। কি ভাবে এটি সম্ভব এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন সচেতন মহল। ক্রয় দামে বা আরো কম দামে ঔষুধ বিক্রির প্রশ্নের উত্তরে ডুলাহাজারা কেমিষ্ট এন্ড ড্রাগিষ্ট সমিতির সভাপতি বাবু রতন দে বলেন বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। যারা এই কাজ করছে তারা হয়তো ক্রেতা সাধারণের সাথে প্রতারণা করে যাচ্ছে নতুবা নকল ঔষুধ বিক্রি করছে। অন্যতায় এটি কিছুতেই সম্ভব নয়। এ বিষয়ে প্রকৃত রহস্য উৎঘাটনে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন সচেতন মহল।